এই জোশকে স্যালুট, পা হারিয়েও সীমান্তে দাঁড়াতে প্রস্তুত বিএসএফ জওয়ান বেদ ব্যাস


 


সাহসের প্রতি সালাম! পা হারিয়েও সীমান্তে দাঁড়াতে প্রস্তুত বিএসএফ জওয়ান বেদ ব্যাস


জম্মু সীমান্তে পাকিস্তানের হামলার মুখে অসম সাহস দেখিয়েছেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সাব-ইন্সপেক্টর বেদ ব্যাস। গত এক মাস আগে অপারেশন সিন্দুরের সময় গুরুতর আহত হয়েও তিনি বলেছেন, "আমি আবার ফিরে যেতে চাই সীমান্তে!"  


কী ঘটেছিল সেই দিন?  

জম্মুর আরএসপুরা সেক্টরে একটি বিএসএফ চৌকিতে হঠাৎ পাকিস্তানের তরফ থেকে শুরু হয় রকেট ও গোলাবর্ষণ। ড্রোন দিয়েও বোমা ফেলা হয় চৌকির উপর। কিন্তু বেদ ব্যাস ও তাঁর সহযোদ্ধারা পিছু না হটে জবাব দেন সমান শক্তিতে।  


সহযোদ্ধাদের হারিয়েও লড়াই চালিয়েছেন  

ওই হামলায় বেদ ব্যাসের সামনেই শহিদ হন তাঁর দুই সহযোদ্ধা—সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ও কনস্টেবল দীপক। কিন্তু শোককে শক্তিতে পরিণত করে বেদ ব্যাস এগিয়ে যান। তিনি এলএমজি নিয়ে পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামিয়ে দেন। এরপর শত্রুপক্ষের চৌকিতে এমন গোলাবর্ষণ করেন যে, তাদের আক্রমণ থেমে যায়।  


পা হারিয়েও মনোবল অটুট  

যুদ্ধের সময় গুরুতর আহত হয়ে বেদ ব্যাস অজ্ঞান হয়ে যান। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারেন, তাঁর একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। কিন্তু এই বীর জওয়ানের প্রথম কথাই ছিল, "আমাকে আবার সীমান্তে ফিরে যেতে দিন!"  

বিএসএফ-এর ডিআইজি প্রভাকর জোশী বলেন, "এমন সাহসী যোদ্ধাদের কারণেই আমরা গর্বিত। দেশ এঁদের কাছে নিরাপদ।"  


অবসর নেওয়ার আগেই বড় চ্যালেঞ্জ  

বেদ ব্যাস আগামী ছয় মাসের মধ্যে অবসর নেবেন। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, "দেশের ডাক এলেই আমি আবার লড়াইয়ে যোগ দেব।"  

সীমান্তের রক্ষায় বেদ ব্যাসের মতো অকুতোভয় যোদ্ধাদের আত্মত্যাগই দেশকে নিরাপদ রাখে। তাঁর সাহস ও দেশপ্রেম সত্যিই অনুকরণীয়।